রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে ডাকাতি, চল্লিশ হাজার টাকা ও মোবাইল রিকভারি উদ্ধার, তিন স্বদেশের ডাকাতের মধ্যে গ্রেপ্তার-২।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাসায় ঢুকে মারধর করে নগদ সোয়া লাখ টাকা ও মোবাইল লুটের অভিযোগে তিনজনের নামের একটি মামলা করেছেন মো. রাকিব নামের এক ভুক্তভোগী। রবিবার দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মামলটি নথিভুক্ত করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন একজন এখনো পলাতক, উদ্ধার হযেছে চল্লিশ হাজার টাকা ও মোবাইল।
মামলায় সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন নামের তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সুমন ও শফিকুল ইসলাম শামীম। আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
মোহাম্মদপুর থানার মামলা নম্বর-৭৪। ধারা ৩৪২, ৩২৩,৩৮৫ এবং ৩৮৬ দণ্ডবিধি। মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রশিদ সরকারকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে মামলার বাদী মো. রাকিব দৈনিক মাতৃভাষা পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পুলিশ দুইজনকে আটক করেছেন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বলে আমাদের’কে অবগত করেন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রশিদ সরকার কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মামলার এজাহার সূত্র জানা যায়, ভুক্তভোগী রাকিব মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিংয়ের ২ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় বাসায় ভাড়া থাকেন। ৯ আগস্ট বুধবার তার বড় ভাই মো. শহিদুল ইসলাম এবং তাদের আত্মীয় শাহিন তার বাসায় বেড়াতে আসেন। ওইদিন দিবাগত রাত ১১টার দিকে রাকিবের পূর্ব পরিচিত সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন তার বাসায় এসে দরজা নক করেন। তখন তিনি দরজা খুলে তাদের দেখে বাসায় কারণ জানতে চান, কিন্তু সুমন, শামীম এবং সুমন তার কথার কোনো জবাব না দিয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে যান, ভুক্তভোগী রাকিব ও তার ঘরে থাকা স্বজনদের, ভয় ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন। এসময় ওই তিনজন রাকিব কে বলেন, রাকিব তোমরা ইয়াবার ব্যবসা করো। কিন্তু ভুক্তভোগী রাকিব তাদের বলেন, আমরা কোনো প্রকার মাদক ব্যবসা করি না। পরে ওই তিনজন বাসার সবাইকে এলোপাতাড়ি মারপিট করেন এবং এক পর্যায়ে মামলার আসামিরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে দুই লাখ টাকা চাঁদা চান। আর চাঁদা না দিলে তাদের মাদক মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
এজাহারে ভুক্তভোগী রাকিব বলেন, আমি কোনো প্রকার চাঁদা দিতে পারব না, পরে সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন (তিন) জন আসামি, ভুক্তভোগীর বাসায় থাকা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আমাদের জখম করে এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী রাকিবের স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দেন। পরে তখন ভুক্তভোগী রাকিব নিরুপায় হয়ে বাসায় থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা এবং গ্রামের বাড়ি থেকে ফোন করে বিকাশের দোকান থেকে (৪) চারবারে মোট এক লাখ ১৫ হাজার টাকা এনে আসামি সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমনের হাতে দিন। ওই টাকা নেওয়ার পর আসামিদের চাওয়া দুই লাখ টাকা পুরোপুরি দিতে না পারায়, আসামি সুমন, শফিকুল ইসলাম শামীম এবং সুমন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে তাদের সবার স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনার বিষয় পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করলে ভুক্তভোগীদের বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়।
রাকিব আরও বলেন, ওই সময়ে সুমন আমার ব্যবহৃত একটি হুওয়ায়ে মোবাইল ফোন ও শফিকুল ইসলাম শামীম ওরফে বাবু আমার বড় ভাইয়ের একটি ভিভো মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুল হক ভূঞা ঢাকা দৈনিক মাতৃভাষা পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Developed by: BD IT AGNECY